Thursday, 26 February 2015

শিক্ষা না বেকার তৈরির কারখানা?

একটি চমকে ওঠা তথ্য দিয়েই লেখাটি শুরু করছি। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) তথ্যমতে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণীর মধ্যে ৪৭ জন বেকার। ভারত ও পাকিস্তানে প্রতি ১০ জন শিক্ষিত তরুণের তিনজন বেকার। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, বেকারদের মধ্যে চিকিৎসক-প্রকৌশলীদের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। নারী চিকিৎসক-প্রকৌশলীদের মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ৩১ শতাংশ। এর পরই আছেন উচ্চমাধ্যমিক ডিগ্রিধারীরা। তাঁদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০টি সর্বাধিক বেকারত্বের দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বাদশ।
শিক্ষিত বেকারের এই অসম্ভব বৃদ্ধির কারণ কী? কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা যে শিক্ষা দিচ্ছি, তা না পারছে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ তৈরি করতে, না পারছে সময় ও যুগের চাহিদা মেটাতে। আমাদের সমাজে যারা স্বল্পশিক্ষিত কিংবা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, তারা যেকোনো একটি কাজ পেলেই খুশি হন। কিন্তু শিক্ষিত তরুণদের রয়েছে কায়িক পরিশ্রমের প্রতি প্রচণ্ড অনীহা। সমাজও তাদের হেয় চোখে দেখে।
আগে চাকরি না পেয়ে গ্রামের শিক্ষিত বেকারেরা মিলে একটি স্কুল বা কলেজ করে আরও বেশ কিছু বেকার তৈরি করতেন। এখন স্কুল-কলেজে পড়ে চাকরির সুযোগ যেহেতু কম, সেহেতু পাড়ায় পাড়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছেন একশ্রেণির স্বঘোষিত শিক্ষা অনুরাগী। যাঁদের প্রধান লক্ষ্য বাণিজ্য, ব্যতিক্রম অবশ্যই আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, কালিমালিপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশি নয়, কম। একটি কালিমালিপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও তার উচিত ইউজিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানো। কেননা, তাঁকে কালিমালিপ্ত কোনো বেসরকারি বা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কালিমামুক্ত করতে। সম্প্রতি টিআইবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করলে তিনি তাকে হাস্যকর বলে উপহাস করেছিলেন। পরে তাঁর অফিসের এক কর্মকর্তাই এই অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন। বালুতে মুখ গুঁজে ঝড় ঠেকানো যায় না।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ১০-১৫ বছর পর পর শিক্ষা পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করা হয়। বাংলাদেশে ৪০ বছর ধরে অধিকাংশ বিষয়ের পাঠ্যক্রম অটুট রাখা হয়েছে। কেবল সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে নেতাদের ছবি ও জীবনী বদল হয়। এই ছবি ও জীবনী বদলের শিক্ষা সমাজ ও জীবন—কোনোটারই চাহিদা মেটাতে পারে না।
২.
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৮৭ হাজার। এদের মধ্যে পাস করেছে ৯২.৬৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে প্রায় সোয়া লাখ। একই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল নয় লাখ ১৪ হাজার ৬০৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ছয় লাখ ৯২ হাজার ৬৯০।
এই যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বের হচ্ছে, তারা কোথায় যাচ্ছে? এসএসসি উত্তীর্ণদের বড় অংশ এইচএসসিতে ভর্তি হয় এবং এইচএসসিতে উত্তীর্ণদের বড় অংশ স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হয়। তারপর? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে মেধাবীরা ভর্তি হলেও নির্দিষ্ট সময়ে পাস করে বের হবেন, সেই নিশ্চয়তা নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে যাঁরা ভর্তি হন, তাঁদের চার বছরের কোর্স শেষ করতে সাত বছর লেগে যায়। এরপর মাস্টার্স করতে আরও দেড়-দুই বছর। পড়া শেষ না হতেই চাকরিতে প্রবেশের মেয়াদ শেষ। কমবেশি সেশনজট আছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই যে মেধা ও তারুণ্যের অপচয়, এর প্রতিকার কী?
প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষার সিঁড়ি পার করলেও জীবনের সিঁড়ি তাঁরা পার হতে পারেন না। হয়তো এমন বিষয়ে পড়েন যার ব্যবহারিক চাহিদা প্রায় শূন্য। আবার এমন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বের হন যখন চাকরির মেয়াদ পার হয়ে যায়। সরকার শিক্ষানীতি, পরীক্ষাপদ্ধতি ও প্রশ্নপত্র নিয়ে যত মাথা ঘামাচ্ছে, তার সিকি ভাগ সমাজের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষাকে মেলানোর চেষ্টা করছে না। ফলে আমরা শিক্ষার নামে বেকার জনশক্তি তৈরি করছি। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও আমাদের শিক্ষা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। শিক্ষার উন্নয়নে চাই নিরন্তর অধ্যবসায়, অনুশীলন ও সময়ের চাহিদা মাফিক পরিবর্তন। কিন্তু রাষ্ট্রের কর্ণধারেরা তাঁদের ব্যক্তিজীবনে যেমন, রাষ্ট্রীয় জীবনেও তেমন অধ্যবসায় ও পরিবর্তনকে ভয় পান।
৩.
বাংলাদেশে অনেক ধরনের অপচয় আছে। সরকারি উন্নয়নকাজে অপচয় আছে, পরিবহন-ঠিকাদারিতে অপচয় আছে। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের নামে শ্রম ও অর্থের অপচয় আছে। নেতাদের নামে ব্যানার-তোরণ নির্মাণে অপচয় আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি অপচয় হলো তারুণ্যের মেধা ও শক্তিকে কাজে লাগাতে না পারা। এমনকি কাজে লাগানোর তেমন চেষ্টাও নেই। একজন শিক্ষিত তরুণ বা তরুণীর পেছনে তাঁর পরিবারের যেমন বিনিয়োগ থাকে, তেমনি
থাকে রাষ্ট্রের বা জনগণের বিনিয়োগও। এই বিনিয়োগ উঠিয়ে আনার উত্তম উপায় হলো চাহিদার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা কর্মক্ষম জনশক্তির বদলে কর্ম-অক্ষম জনশক্তি তৈরি করছি বিপুল অর্থ ও বিশাল যজ্ঞের মাধ্যমে। প্রতিবছরই সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও শিক্ষার্থীদের পাসের হার বেড়ে চলেছে। কিন্তু সেই তুলনায় চাকরির সুযোগ বাড়ছে না।
প্রতিবছর এই যে লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন, রাষ্ট্রনেতারা তাঁদের নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান বলে মনে হয় না। দেশে যেহেতু বিনিয়োগের ক্ষেত্র সীমিত, সেহেতু বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা কম। বিদেশে কর্মসংস্থান করার মতো প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাও অনেকের নেই। ফলে তাঁরা দুঃসহ বেকারত্বের বোঝা বহন করেন বছরের পর বছর। যাঁদের যেটুকু সম্ভাবনা আছে, তাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারের ভুল নীতি ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি ছিল, কোটা-পদ্ধতি হ্রাস করে মেধাবী তরুণদের সুযোগ বাড়ানোর। কিন্তু ৪০ বছরেও রাষ্ট্র এ বিষয়ে একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষাপদ্ধতি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে, তা কতটা মেধাবী তরুণদের জায়গা করে দেবে আর কতটা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করবে, বলা কঠিন। প্রতিবছরই বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও পরীক্ষাপদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার পর গত ১০ মাসেও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এত দিন পাবলিক পরীক্ষার জট ছিল, এখন বিসিএস পরীক্ষায়ও জট দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নানা রকমের কোটা ও পরীক্ষাপদ্ধতি আবিষ্কার করেন। কিন্তু তাঁরা মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে কোনো ব্যবস্থা নেন না। প্রশাসনে ও শিক্ষাঙ্গনে মেধাবীদের ধরে রাখার চেষ্টা করেন না।
দেশের লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণ গভীর হতাশায় ভুগছেন এ কারণে যে তাঁদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চাকরির পরীক্ষায় বসারও সুযোগ নেই। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিল সাধারণ ছাত্র পরিষদ। এই পরিষদের সভাপতি আল আমিন রাজুসহ কয়েকজন প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছিলেন তাঁদের দাবিদাওয়া জানাতে। তাঁদের মূল দাবি, চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছর করতে হবে। এ ব্যাপারে তাঁরা বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্পিকার থাকাকালে তাঁর কাছে ধরনা দিয়েছিলেন। তিনি তাঁদের আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়নি। স্পিকার হিসেবে তাঁর যে ক্ষমতা ছিল, রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিশ্চয়ই কিঞ্চিত বেড়েছে।
আমরা এই তরুণদের চোখেমুখে গভীর হতাশা ও ক্লান্তি লক্ষ করছি। রাজপথে আন্দোলন করে তাঁরা পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছেন। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাননি। এভাবে আমরা কি একটির পর একটি প্রজন্ম নষ্ট হতে দিতে পারি? পারি না। তাহলে কেন এসব ম্লানমুখ তরুণদের কথা ভাবি না? এই তরুণেরা তাঁরা বাড়ি যেতে পারছেন না লজ্জায়, মা-বাবার কাছে টাকা চাইতে পারছেন না, মেস ভাড়া করে থাকার পয়সা নেই৷ তাই আজ এ-বন্ধুর মেসে, কাল ও-বন্ধুর বাসায় ক্ষণিকের আশ্রয়ী হয়ে থাকেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কেউ কেউ রেলস্টেশন কিংবা বাস টার্মিনালেও রাত কাটাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে পত্রিকায় পড়লাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা এক তরুণ চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কেবল একজন নন, বহু শিক্ষিত তরুণ চাকরি না পেয়ে, জীবনের দিশা হারিয়ে এভাবে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন, কেউ বা লিপ্ত হচ্ছেন অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজে।
আমরা যখন এই তরুণদের হতাশার কথা লিখছি, তখন রাজনীতি-আশ্রয়ী আরেক শ্রেণির তরুণ মারামারি, দখলবাজি ও চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত। রাজনীতির বড় ভাইয়েরা, সাবেক ও বর্তমান সাংসদেরা তাঁদের প্রভাববলয় বাড়াতে তরুণদের ব্যবহার করছেন। কেউ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। এই শিক্ষিত বেপথু তরুণেরা সব সময়ই ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হন। কিন্তু এর বাইরে যে লাখ লাখ তরুণের জীবনের কোনো গন্তব্য নেই, নিশানা নেই; সংসারে তাঁরা পরিত্যাজ্য, রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে অচ্ছুত।
এই তরুণেরা কোথায় যাবেন? তবে এ-ও সত্য যে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো সুষ্ঠু সমাধান নয়। তরুণদের দাবি, সময়মতো শিক্ষাজীবন শেষ করাতে হবে, চার বছরের অনার্স কোর্স সাত বছরে শেষ করা চলবে না। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এ রকম অদ্ভুত ও আত্মঘাতী নিয়ম আছে বলে জানা নেই। প্রতিযোগী ভারত বা শ্রীলঙ্কায় যেখানে একজন শিক্ষার্থী ২২-২৩ বছরে শিক্ষাজীবন শেষ করেন, সেখানে বাংলাদেশে ২৯-৩০ বছর কেন লাগে? এই অপচয়ের কী যুক্তি আছে? দয়া করে মাননীয় ও মাননীয়ারা জানাবেন কি?
সূত্র: প্রথম আলো: http://www.prothom-alo.com/opinion/article/303751/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE?print=1#jadewits_print

Friday, 12 October 2012

স্বপ্ন, সফল মানুষ তৈরীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সফল মানুষ তৈরী অনেক কঠিন কাজ। কার কখন কিভাবে সফলতার চারাগাছটি জন্ম নেয় বলা মুসকিল। তবে কলেজ জীবনে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হওয়ার। তাই কলেজ জীবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। উন্নত বিশ্বে শিক্ষার্থীরা ১৬-১৮ বছর বয়স থেকে চাকুরীর পাশাপাশি কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা গ্রহণ করে, যা তাদের পেশাকে এগিয়ে নেয় । আমাদের দেশে শিক্ষার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন । এ চিত্র পাল্টাতে আমার স্বপ্ন একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার। যেখানে শিক্ষার্থীর সফলতার চারা গাছটি জন্ম নেবে। ‘শিক্ষা থেকে সফলতা' একটি মডেল তৈরী করে কাজ করার চেষ্ঠা চলছে। এটি আমাদের গবেষণা এবং আর্ন্তজাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরী । ‘শিক্ষা থেকে সফলতা’র মডেল অনুসারে নিম্নের বিষয়গুলো উল্লেখেযোগ্য:
  • আধুনিক, সুশাসন-সুশৃঙ্খল, অরাজনৈতিক কলেজ জীবন
  • শিক্ষাজীবনের শুরুতেই প্রয়োজনীয় বেসিক কম্পিউটার এবং ইংরেজী প্রশিক্ষণ
  • শিক্ষার্থীর পছন্দের বিষয়ে, যেমন: সাংবাদিকতা, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি দক্ষতা অর্জনের ট্রেনিং
  • নুন্যতম কর্মসংস্থানের (পার্ট-টাইম, ফুল টাইম, ইন্টার্ন) এর সুযোগ
  • পরিপূর্ণ সফল হতে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসায়িক এবং আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক
পুরো ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে ক্রিয়েটিভ কর্মসংস্থান, প্রযুক্ত এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট তৈরী করা হয়েছে। 

Sunday, 30 September 2012

শিক্ষার সাফল্য: প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান, উদ্যেক্তা তৈরী, এবং পেশাগত উন্নয়ন: কিভাবে?


কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সাথে আমাদের সাফল্য দুরত্ব রয়েছে, যা এখানে বর্ননা করা আছে ক্রিয়েটিভ ইন্সটিটিউট অব কেরিয়ার্স, ট্রেনিং এবং রিসার্চ (CICTR) ওয়েভসাইটে একটি মন-চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে ধাপে ধাপে কিভাবে শিক্ষা থেকে সাফল্যে দিকে যেতে পারি। একটি আধুনিক, সু-শৃঙ্খল কলেজ শিক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় বেসিক দক্ষতা (আইটি এবং ভাষা ভিত্তিক) অর্জনের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। এরপর রয়েছে আর একটি কঠিন ধাপ । সেটি হচ্ছে নিজের পছন্দমত একটি পেশা নিবার্চন করে সেই ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা নেয়া । 

এ পৃথিবীতে হাজার পেশা রয়েছে, যার প্রতিটিতে নির্দ্দিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা দেয়া একটি কলেজের জন্য বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু যেকোন প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগি হিসাবে কাজ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্ণশিপের ব্যবস্থা করা যায়। সামাজিক ব্যবসা (Social Enterprise) হিসেবে কলেজ নিজস্ব কিছু কর্মকান্ড পরিচালিত করতে পারে। CICTR এজন্য নিম্নের প্রকল্পসমূহ হাতে নিয়েছে:

পর্যটন বা  ক্রিয়েটিভ ইকো-টুরিজম:  শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞানলাভ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রজেক্ট বাংলাদেশের বিখ্যাত স্থান, আমাদের ক্যাম্পাসের পাশবর্তী ছায়া-ঘেরা জনপদ, নদী, ঐতিহাসিক স্থান আপনাদের বিনোদনের জন্য  অপেক্ষা করছে । আধুনিক পরিবহন, প্রশিক্ষিত গাইড দিয়ে অনুষ্ঠানাদি, বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ পরিচালনায় করা যায়   আর এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা  করা হয়েছে ভ্রমণের মাধ্যমে জ্ঞানার্জন এবং আনন্দ লাভের উদ্দেশ্যে, যা আকর্ষনীয় মূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত । ভবিষ্যতে এটি বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ করা যায়।

নেটওয়ার্ক বিপনন: অল্প-ঝুকিঁ, দলগত উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, ট্রেনিং এবং রিসার্চ (CICTR) এ প্রকল্প নিয়েছে। ব্যবসা করতে অনেক পুঁজি লাগে বলে অনেকে ব্যবসায় আসতে ভয় পায় । ধর্ম, সমাজ, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। সবাই চাকুরী খুঁজলে চাকুরি দেবে কে? একজন সফল ব্যবসায়ী অনেক উচ্চ-শিক্ষিতের জন্য কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশে নেটওয়ার্ক ব্যবসা অত্যন্ত সফল, যেমন: মালয়েশিয়া। এ প্রকল্প CICTR এর শিক্ষাথীদের বিনামূল্যে বা বিনিয়োগবিহীন ব্যবসা শুরুর সুযোগ দিবে । কোন ফি ছাড়া তারা নেটওয়ার্কে  যুক্ত হবে, দলগত প্রশিক্ষণ পাবে। শুধুমাত্র প্রকৃত পন্য এবং সেবা প্রদান মাধ্যমে উপাজর্ন করবে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের নেটওয়ার্ক তৈরী করতে পারবে।এ প্রকল্পের বিস্তারীত জানতে দেখুন www.networkbusinessforall.com, ওয়েবসাইটটি CICTR এর তৈরী, এর মাধ্যমে পরিচালিত। 
সমবায়: শিক্ষা, কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষন ইত্যাদি সঞ্চয়, বিভিন্ন লাভজনক খাতের জন্য মূলধন সংগ্রহ, সমবায়/ সঞ্চয়ের ভিত্তিতে প্রকল্প উন্নয়ন এর মূল উদ্দেশ্য আরো বিস্তারিত জানতে http://cictr.org/coop
এছাড়া CICTR এর নিজস্ব আভ্যন্তরীন কর্মকান্ডে (অফিস, আইটি সেন্টার, গবেষণা, ক্যাফেটেরিয়া, অনুষ্ঠানাদি ইত্যাদি) শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা হয়, যাতে তারা কাস্টমার সার্ভিস, ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবহারিক এবং প্রকৃত অভিজ্ঞতা অর্জন করে ।
শিক্ষার্থী: সর্বস্তরে শুধু শিক্ষা নয়, সফলতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পগুলোতে CICTR এর কলেজ শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রশিক্ষণার্থী, এমনকি যেকোনো এইচএসসি পাশ শিক্ষাথী সম্পৃক্ত হতে পারবে।  
-----------------------------------------------------------------------------
Education to Success: entrepreneurship, employment, and career development is in the centre of an educational institute- English version to be added.

In http://cictr.org/education-success it's been shown that how different phase can be conducted. In this blog
Training

Tour Guide
Network Business:
cooperative
In house projects
Root level students:

Reference:

Education and success, after college or further education.


Are you an inferior individual than Mark Zuckreberg of Facebook, Bill gates of Microsoft? Are you studying and working hard with many qualifications and degrees but still unemployed? Bottom line is, are you a successful individual after education?

We can see connections between students, education, institutes and success. Many institutes help students to pass exam, get high grade, prepare them for industry through part-time jobs, placement and so forth. Unfortunately, many students are not being successful from their education at the end. Specially in developing countries, where certificates are the main source of recognition, unemployment rate is very high. The rate is also growing in developed countries.Though University or higher (HE) education supposed to extend our professional achievement, but many students are now coming to the universities, as unemployed individuals, to change career or to start their career. College or Further (FE) education prepare student for high rank universities or for high grades. But Majority students don't need this, all they need is success e.g. employment, job, starting business, supporting families after a standard education or qualification.

"Nothing succeeds like success." - Alexandre Dumas, 

So, it may be a time to re-design the wheel. Career plan can be started in college or further education (FE). Students can start their career after college and take work experience through jobs or business. After few years, they can start university or higher education. In the link, http://cictr.org/education-success, it's been shown that how different phase can be conducted to get success. However, to get the success FE and HE should work closely for the success of the students.


শিক্ষা এবং সাফল্য: কলেজ কিংবা তারপরে

আমরা ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাফল্যের মধ্যে কিছু সংযোগ দেখতে পারি। অনেক প্রতিষ্ঠান ছাত্র পরীক্ষায় পাশ করতে, উচ্চ গ্রেড পেতে, খন্ডকালীন সময়ের কাজ পেতে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করছে। দুর্ভাগ্যবশত বহু ছাত্র তাদের শিক্ষা  শেষে সফল হচ্ছে না । বিশেষভাবে উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে সার্টিফিকেটই স্বীকৃতির প্রধান উৎস এবং বেকারত্বের হার অত্যন্ত উচ্চ। বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চতর শিক্ষা আমাদের পেশাদারী কৃতিত্ব কিংবা গবেষণার প্রসারে তৈরী, কিন্তু অনেক ছাত্র বেকার হিসাবে, কর্মজীবন পরিবর্তন বা নতুন কর্মজীবন শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে। আবার কলেজগুলো ছাত্রদের প্রস্তুত করছে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য। কিন্তু অনেকেরই এর প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন আদর্শ শিক্ষা বা যোগ্যতার শেষে সাফল্য যেমন, কর্মসংস্থান, চাকরী, ব্যবসা শুরু।

"সাফল্যে সব কিছুই মিলে." - Alexandre Dumas

সুতরাং ভিন্নভাবে চিন্তা করা যায়। কলেজ শিক্ষার মধ্যে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা আরম্ভ করা যেতে পারে। একজন শিক্ষার্থী কলেজ এবং পরে তাদের কর্মজীবন শুরু চাকরি বা ব্যবসা মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা নিতে পারে। কয়েক বছর পর, তারা বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চতর শিক্ষা শুরু করতে পারেন. এখানে একটি মন-চিত্র আছে , কিভাবে বিভিন্ন ফেজে সাফল্য পাওয়া যাবে দেখানো হয়েছে। যাইহোক, সাফল্যের জন্য ছাত্র, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। 

Monday, 24 November 2008

EDUCATION AND LIFE

Unusual education and Success of President Barack Obama

People of all over the world believe in different philosophy. In Americans traditional philosophy was only white people can be leader of their nation, it have some evidence like republicans was their leader. Most of the leader is white American.
But time has been changed. it’s the time for globalization birth and color is not a big deal not a big matter for current time. Education honesty is the main important part of leadership.
Some thing happened like that with today’s world famous and debated person Barack Obama.

Barack Hussein Obama was born Aug. 4, 1961, in Honolulu, Hawaii. His father, Barack Obama, Sr., was born of Luo ethnicity in Nyanza Province, Kenya. He grew up herding goats with his own father, who was a domestic servant to the British. Although reared among Muslims, Obama, Sr., became an atheist at some point.
Obama’s mother, Ann Dunham, grew up in Wichita, Kansas. Her father worked on oil rigs during the Depression. After the Japanese attack on Pearl Harbor, he signed up for service in World War II and marched across Europe in Patton’s army. Dunham’s mother went to work on a bomber assembly line. After the war, they studied on the G. I. Bill, bought a house through the Federal Housing Program, and moved to Hawaii.
Obama’s parents separated when he was two years old and later divorced. Obama’s father went to Harvard to pursue Ph. D. studies and then returned to Kenya.
He was enrolled in the fifth grade at the esteemed Punahou Academy, graduating with honors in 1979. He was only one of three black students at the school. This is where Obama first became conscious of racism and what it meant to be an African–American.
In his memoir, Obama described how he struggled to reconcile social perceptions of his multiracial heritage. He saw his biological father (who died in a 1982 car accident) only once (in 1971) after his parents divorced. And he admitted using alcohol, marijuana and cocaine during his teenage years.
After high school, Obama studied at Occidental College in Los Angeles for two years. He then transferred to Columbia University in New York, graduating in 1983 with a degree in political science.
Obama entered Harvard Law School in 1988. In February 1990, he was elected the first African–American editor of the Harvard Law Review. Obama graduated magna cum laude in 1991.
After law school, Obama returned to Chicago to practice as a civil rights lawyer, joining the firm of Miner, Barnhill & Galland. He also taught at the University of Chicago Law School.
In Bangladesh Creative College is working to achieve the success of it's student throught unusual & career based education. visit www.cictr.org

Thursday, 6 November 2008

English language for all

English language is an international no drought about it.
our Bangladesh is a undeveloped country .
Most of the people staying the under poverty limit.
Today I will tell that what the reason work behind that.
First of all I have point out that our education system is not good
Because our education is bangle biased it’s not that I have problem with bangle.
World is growing first today first world’s country is thinking about globalization.
We have to know that what is the principal of globalization they say whole world’s language have to be one it’s English.
There are a lot of language whole over the world some people talk in Korean, some people talk in Hindi, some people talk in but who people are the founder of globalization they are not habituated in other language.
We have to go ahead with the globalization that is why we have to learn English too.
What ever leave it now I am coming to the point.
Why our situation like that.
Most of you teacher are not expert in teaching .
The always say that proposition always stand on first of noune.
But they never say that what the preposition what is the necessity of preposition.
Like when we say English that is like that (over phone) but it’s bangle meaning is (phone a ) .( a’s meaning is over)
But they can’t explain it.
Most of our village’s people and student can’t understand the point.
For that reason they try to read whole cow essay.
But it’s not a proper way to learn English writer only write essay for find out point.Not for read

Monday, 25 August 2008

What's the demand and trend of the industry?

We, at Creative Career College, are linked with the industry. In Bangladesh, the mindset of the majority people would like to see their children as doctor or engineer. Getting successful career in these profession is a long way. Moreover there is no specific industry established where doctor can join easily after education. But there are hundreds of discipline where students can start after graduation. Pharmacy, IT, English, Vocational career in the overseas. Most interesting it varies time to time. We keep active touch with industry to see it's demand and trend. and act accordingly. Creative Career College thinks it's students are the raw materials of of the most demanding sectors.